প্রকৃতি সফলতা ও বেকারত্ব সমন্দ্রে ইসলাম কি বলে?
প্রকৃতি সফলতা পেতে যা প্রয়োজন
সেই ছোটকালে বলা হতো, "ভালো করে পড়াশোনা করো। নাহলে সফলতা পাবে না"।
দাখিল পরীক্ষার সময় বলা হলো, " এ+ না পেলে জীবন ব্যর্থ"। জানপ্রাণ পড়াশোনা করলাম। এ + এলো। কিন্তু সফলতা এলো না।
আলিম পরীক্ষার সময় বলা হলো, " দাখিলের এ+ এ কোন লাভ হবে না। যদি না আলিমে এ+ পাও"। আবারো প্রাণপন পড়াশোনা করলাম। এ+ ও এলো। কিন্তু সফলতা এলো না।
এভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির সময়, ডিপার্টমেন্টের রেজাল্টের সময়ও "সফলতা" এর সংগা বারংবার বদলেছে।
এবং নিশ্চিত করেই বলা যায় যে, এটা আরো বহুবার বদলাবে। এখন বলা হচ্ছে, চাকরীই সফলতা, এরপরে বলা হবে, পদন্নোতিই সফলতা, এরপরে গাড়ি-বাড়িই সফলতা।
এভাবে সফলতার সঙ্গা প্রতিনিয়ত বদলে যায়। সেটা অর্জন করলে দেখা যায় যে, সফলতা মনে করে এতো কষ্ট করে যা অর্জন করা হলো সেটা আদতে সফলতা না। বরং নতুন আরেকটাকে সফলতা বলা হচ্ছে।
এ যেনো নাকের সামনে ঝুলানো একটি মুলা। যা কোনদিনই অর্জন হয় না। এ যেনো এক মরিচিকা।
আসলে তাই। বস্তুজগতে যাকে সফলতা বলা হয় তা আদতেই মরিচিকা। সব ভুয়া। সফলতা বলে কিছু নাই।
এই মরিচিকার পিছনে দৌড়াতে দৌড়াতে কি অর্জন হয় জানেন?
পবিত্র কোরআন খুব চমৎকার বলেছে,
أَلْهٰىكُمُ التَّكَاثُرُ
প্রাচুর্যের প্রতিযোগিতা তোমাদেরকে ভুলিয়ে রেখেছে।
حَتّٰى زُرْتُمُ الْمَقَابِرَ
যতক্ষণ না তোমরা কবরের সাক্ষাৎ করবে।
এটাই সত্য। সফলতা নামক আলেয়ার পিছনে ছুটতে ছুটতে আকস্মাৎ মৃত্যু সামনে এসে পড়ে। কিন্তু সফলতা আর আসে না।
অথচ নিশ্চিত একটি সফলতা আছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন,
الَّذِينَ ءَامَنُوا وَهَاجَرُوا وَجٰهَدُوا فِى سَبِيلِ اللَّهِ بِأَمْوٰلِهِمْ وَأَنفُسِهِمْ أَعْظَمُ دَرَجَةً عِندَ اللَّهِ ۚ وَأُولٰٓئِكَ هُمُ الْفَآئِزُونَ
যারা ঈমান এনেছে, হিজরত করেছে, আর আল্লাহর পথে নিজদের মাল ও জান দিয়ে জিহাদ করেছে, আল্লাহর কাছে তারা বড়ই মর্যাদাবান আর তারাই সফলকাম।
এটাই সত্যিকার সফলতা। এই সফলতায় কোন ধোকা নাই। কোন অনিশ্চয়তা নাই।
অথচ আমরা এই নিশ্চিত সফলতাকে রেখে মরিচিকার পিছনে ছুটছি। আর হতাশ হচ্ছি।
ইশা ছাত্র আন্দোলন আপনাকে আলেয়ার পিছন থেকে ছুটিয়ে নিশ্চিত সফলতার দিকে ডাকছে।
#বেকারত্ব হলো, কোন কাজ না করে অলস সময় কাটানো। এর বিপরিতে যারা শ্রমের বা কর্মের বিনিময়ে অর্থ উপার্জন করে তাদের কর্মসংস্থান হয়েছে বলে ধরা হয়।
যারা তাদের কর্মের মজুরী দিনে দিনে পায় তাদেরকে দিনমজুর বলা হয়। সেই হিসেবে ডাক্তাররা মিনিটমজুর। উকিলরা ঘন্টা মজুর। আর চাকুরীজীবিরা মাসমজুর।
ভাত-কাপড়ের জন্য যারা নিজেদের শ্রম-মেধা ও সময় বিক্রি করার সুযোগ পেয়েছে তারা "কর্মসংস্থান" হয়েছে বলে আত্মতুষ্টিতে ভোগে।
আমরাও আমাদের শ্রম-মেধা ও সময় বিক্রি করেছি। তবে আমরা ভাত-কাপড়ের জন্য আমাদের শ্রম-মেধা ও সময় বিক্রি করি নাই। বরং জান্নাতের জন্য এগুলো বিক্রি করেছি।
তোমরা তোমাদের মজুরি কেউ মিনিটে, কেউ ঘন্টায় আবার কেউবা মাসে মাসে নেও। আর আমরা আমাদের মজুরি দুনিয়ায় এই ক্ষণিকের যাত্রার শেষে নেবো। তোমাদের মজুরি মাসে মাসে শেষ হয় কিন্তু ইনশাআল্লাহ আমাদের মজুরি কোনদিন শেষ হবে না। তোমরা তোমাদের মজুরি দিনে দিনে ভোগ করো, আর আমরা সেটা হয়তো পারি না।
কিন্তু মনে রেখো, আমরা বেকার নই। আমরাও কর্মে নিয়োজিত আছি।
হ্যা! এখন হয়তো আমাদের লোকাল বাসে ঝুলে ঝুলে বাসায় যেতে হয়, হয়তো আমরা ঈদে শপিং করতে পারি না এবং হয়তো আমরা জীবনকে উপভোগ করতে পারি না। কিন্তু এরমানে এই না যে, আমরা বেকার বসে আছি। বরং আমরাও কর্মেই নিয়োজিত আছি। এবংআমার এই কর্মসংস্থান আমি আল্লাহর রহমতে নিজেই খুজে নিয়েছি।
সফলতা ও বেকারত্ব তোমাদের কাছে একরকম আর আমাদের কাছে আরেকরকম। তবে কথা হলো, আমাদের সফলতা ও কর্মসংস্থানের সঙ্গা মহান আল্লাহ তায়ালা ঠিক করে দিয়েছেন।
আর আমরা আমার আল্লাহর নির্ধারন করে দেয়া সফলতা ও কর্মসংস্থানের সঙ্গায় পুর্ন আস্থাশীল।
فَقُلْ حَسْبِىَ اللَّهُ لَآ إِلٰهَ إِلَّا هُوَ ۖ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ ۖ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ
,তবে বল, ‘আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। আমি তাঁরই উপর তাওয়াক্কুল করেছি। আর তিনিই মহাআরশের রব’।সেই ছোটকালে বলা হতো, "ভালো করে পড়াশোনা করো। নাহলে সফলতা পাবে না"।
দাখিল পরীক্ষার সময় বলা হলো, " এ+ না পেলে জীবন ব্যর্থ"। জানপ্রাণ পড়াশোনা করলাম। এ + এলো। কিন্তু সফলতা এলো না।
আলিম পরীক্ষার সময় বলা হলো, " দাখিলের এ+ এ কোন লাভ হবে না। যদি না আলিমে এ+ পাও"। আবারো প্রাণপন পড়াশোনা করলাম। এ+ ও এলো। কিন্তু সফলতা এলো না।
এভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির সময়, ডিপার্টমেন্টের রেজাল্টের সময়ও "সফলতা" এর সংগা বারংবার বদলেছে।
এবং নিশ্চিত করেই বলা যায় যে, এটা আরো বহুবার বদলাবে। এখন বলা হচ্ছে, চাকরীই সফলতা, এরপরে বলা হবে, পদন্নোতিই সফলতা, এরপরে গাড়ি-বাড়িই সফলতা।
এভাবে সফলতার সঙ্গা প্রতিনিয়ত বদলে যায়। সেটা অর্জন করলে দেখা যায় যে, সফলতা মনে করে এতো কষ্ট করে যা অর্জন করা হলো সেটা আদতে সফলতা না। বরং নতুন আরেকটাকে সফলতা বলা হচ্ছে।
এ যেনো নাকের সামনে ঝুলানো একটি মুলা। যা কোনদিনই অর্জন হয় না। এ যেনো এক মরিচিকা।
আসলে তাই। বস্তুজগতে যাকে সফলতা বলা হয় তা আদতেই মরিচিকা। সব ভুয়া। সফলতা বলে কিছু নাই।
এই মরিচিকার পিছনে দৌড়াতে দৌড়াতে কি অর্জন হয় জানেন?
পবিত্র কোরআন খুব চমৎকার বলেছে,
أَلْهٰىكُمُ التَّكَاثُرُ
প্রাচুর্যের প্রতিযোগিতা তোমাদেরকে ভুলিয়ে রেখেছে।
حَتّٰى زُرْتُمُ الْمَقَابِرَ
যতক্ষণ না তোমরা কবরের সাক্ষাৎ করবে।
এটাই সত্য। সফলতা নামক আলেয়ার পিছনে ছুটতে ছুটতে আকস্মাৎ মৃত্যু সামনে এসে পড়ে। কিন্তু সফলতা আর আসে না।
অথচ নিশ্চিত একটি সফলতা আছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন,
الَّذِينَ ءَامَنُوا وَهَاجَرُوا وَجٰهَدُوا فِى سَبِيلِ اللَّهِ بِأَمْوٰلِهِمْ وَأَنفُسِهِمْ أَعْظَمُ دَرَجَةً عِندَ اللَّهِ ۚ وَأُولٰٓئِكَ هُمُ الْفَآئِزُونَ
যারা ঈমান এনেছে, হিজরত করেছে, আর আল্লাহর পথে নিজদের মাল ও জান দিয়ে জিহাদ করেছে, আল্লাহর কাছে তারা বড়ই মর্যাদাবান আর তারাই সফলকাম।
এটাই সত্যিকার সফলতা। এই সফলতায় কোন ধোকা নাই। কোন অনিশ্চয়তা নাই।
অথচ আমরা এই নিশ্চিত সফলতাকে রেখে মরিচিকার পিছনে ছুটছি। আর হতাশ হচ্ছি।
ইশা ছাত্র আন্দোলন আপনাকে আলেয়ার পিছন থেকে ছুটিয়ে নিশ্চিত সফলতার দিকে ডাকছে।
#বেকারত্ব হলো, কোন কাজ না করে অলস সময় কাটানো। এর বিপরিতে যারা শ্রমের বা কর্মের বিনিময়ে অর্থ উপার্জন করে তাদের কর্মসংস্থান হয়েছে বলে ধরা হয়।
যারা তাদের কর্মের মজুরী দিনে দিনে পায় তাদেরকে দিনমজুর বলা হয়। সেই হিসেবে ডাক্তাররা মিনিটমজুর। উকিলরা ঘন্টা মজুর। আর চাকুরীজীবিরা মাসমজুর।
ভাত-কাপড়ের জন্য যারা নিজেদের শ্রম-মেধা ও সময় বিক্রি করার সুযোগ পেয়েছে তারা "কর্মসংস্থান" হয়েছে বলে আত্মতুষ্টিতে ভোগে।
আমরাও আমাদের শ্রম-মেধা ও সময় বিক্রি করেছি। তবে আমরা ভাত-কাপড়ের জন্য আমাদের শ্রম-মেধা ও সময় বিক্রি করি নাই। বরং জান্নাতের জন্য এগুলো বিক্রি করেছি।
তোমরা তোমাদের মজুরি কেউ মিনিটে, কেউ ঘন্টায় আবার কেউবা মাসে মাসে নেও। আর আমরা আমাদের মজুরি দুনিয়ায় এই ক্ষণিকের যাত্রার শেষে নেবো। তোমাদের মজুরি মাসে মাসে শেষ হয় কিন্তু ইনশাআল্লাহ আমাদের মজুরি কোনদিন শেষ হবে না। তোমরা তোমাদের মজুরি দিনে দিনে ভোগ করো, আর আমরা সেটা হয়তো পারি না।
কিন্তু মনে রেখো, আমরা বেকার নই। আমরাও কর্মে নিয়োজিত আছি।
হ্যা! এখন হয়তো আমাদের লোকাল বাসে ঝুলে ঝুলে বাসায় যেতে হয়, হয়তো আমরা ঈদে শপিং করতে পারি না এবং হয়তো আমরা জীবনকে উপভোগ করতে পারি না। কিন্তু এরমানে এই না যে, আমরা বেকার বসে আছি। বরং আমরাও কর্মেই নিয়োজিত আছি। এবংআমার এই কর্মসংস্থান আমি আল্লাহর রহমতে নিজেই খুজে নিয়েছি।
সফলতা ও বেকারত্ব তোমাদের কাছে একরকম আর আমাদের কাছে আরেকরকম। তবে কথা হলো, আমাদের সফলতা ও কর্মসংস্থানের সঙ্গা মহান আল্লাহ তায়ালা ঠিক করে দিয়েছেন।
আর আমরা আমার আল্লাহর নির্ধারন করে দেয়া সফলতা ও কর্মসংস্থানের সঙ্গায় পুর্ন আস্থাশীল।
فَقُلْ حَسْبِىَ اللَّهُ لَآ إِلٰهَ إِلَّا هُوَ ۖ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ ۖ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ
,তবে বল, ‘আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। আমি তাঁরই উপর তাওয়াক্কুল করেছি। আর তিনিই মহাআরশের রব’
সফলতা
সেই ছোটকালে বলা হতো, "ভালো করে পড়াশোনা করো। নাহলে সফলতা পাবে না"।
দাখিল পরীক্ষার সময় বলা হলো, " এ+ না পেলে জীবন ব্যর্থ"। জানপ্রাণ পড়াশোনা করলাম। এ + এলো। কিন্তু সফলতা এলো না।
আলিম পরীক্ষার সময় বলা হলো, " দাখিলের এ+ এ কোন লাভ হবে না। যদি না আলিমে এ+ পাও"। আবারো প্রাণপন পড়াশোনা করলাম। এ+ ও এলো। কিন্তু সফলতা এলো না।
এভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির সময়, ডিপার্টমেন্টের রেজাল্টের সময়ও "সফলতা" এর সংগা বারংবার বদলেছে।
এবং নিশ্চিত করেই বলা যায় যে, এটা আরো বহুবার বদলাবে। এখন বলা হচ্ছে, চাকরীই সফলতা, এরপরে বলা হবে, পদন্নোতিই সফলতা, এরপরে গাড়ি-বাড়িই সফলতা।
এভাবে সফলতার সঙ্গা প্রতিনিয়ত বদলে যায়। সেটা অর্জন করলে দেখা যায় যে, সফলতা মনে করে এতো কষ্ট করে যা অর্জন করা হলো সেটা আদতে সফলতা না। বরং নতুন আরেকটাকে সফলতা বলা হচ্ছে।
এ যেনো নাকের সামনে ঝুলানো একটি মুলা। যা কোনদিনই অর্জন হয় না। এ যেনো এক মরিচিকা।
আসলে তাই। বস্তুজগতে যাকে সফলতা বলা হয় তা আদতেই মরিচিকা। সব ভুয়া। সফলতা বলে কিছু নাই।
এই মরিচিকার পিছনে দৌড়াতে দৌড়াতে কি অর্জন হয় জানেন?
পবিত্র কোরআন খুব চমৎকার বলেছে,
أَلْهٰىكُمُ التَّكَاثُرُ
প্রাচুর্যের প্রতিযোগিতা তোমাদেরকে ভুলিয়ে রেখেছে।
حَتّٰى زُرْتُمُ الْمَقَابِرَ
যতক্ষণ না তোমরা কবরের সাক্ষাৎ করবে।
এটাই সত্য। সফলতা নামক আলেয়ার পিছনে ছুটতে ছুটতে আকস্মাৎ মৃত্যু সামনে এসে পড়ে। কিন্তু সফলতা আর আসে না।
অথচ নিশ্চিত একটি সফলতা আছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন,
الَّذِينَ ءَامَنُوا وَهَاجَرُوا وَجٰهَدُوا فِى سَبِيلِ اللَّهِ بِأَمْوٰلِهِمْ وَأَنفُسِهِمْ أَعْظَمُ دَرَجَةً عِندَ اللَّهِ ۚ وَأُولٰٓئِكَ هُمُ الْفَآئِزُونَ
যারা ঈমান এনেছে, হিজরত করেছে, আর আল্লাহর পথে নিজদের মাল ও জান দিয়ে জিহাদ করেছে, আল্লাহর কাছে তারা বড়ই মর্যাদাবান আর তারাই সফলকাম।
এটাই সত্যিকার সফলতা। এই সফলতায় কোন ধোকা নাই। কোন অনিশ্চয়তা নাই।
অথচ আমরা এই নিশ্চিত সফলতাকে রেখে মরিচিকার পিছনে ছুটছি। আর হতাশ হচ্ছি।
ইশা ছাত্র আন্দোলন আপনাকে আলেয়ার পিছন থেকে ছুটিয়ে নিশ্চিত সফলতার দিকে ডাকছে।
#বেকারত্ব হলো, কোন কাজ না করে অলস সময় কাটানো। এর বিপরিতে যারা শ্রমের বা কর্মের বিনিময়ে অর্থ উপার্জন করে তাদের কর্মসংস্থান হয়েছে বলে ধরা হয়।
যারা তাদের কর্মের মজুরী দিনে দিনে পায় তাদেরকে দিনমজুর বলা হয়। সেই হিসেবে ডাক্তাররা মিনিটমজুর। উকিলরা ঘন্টা মজুর। আর চাকুরীজীবিরা মাসমজুর।
ভাত-কাপড়ের জন্য যারা নিজেদের শ্রম-মেধা ও সময় বিক্রি করার সুযোগ পেয়েছে তারা "কর্মসংস্থান" হয়েছে বলে আত্মতুষ্টিতে ভোগে।
আমরাও আমাদের শ্রম-মেধা ও সময় বিক্রি করেছি। তবে আমরা ভাত-কাপড়ের জন্য আমাদের শ্রম-মেধা ও সময় বিক্রি করি নাই। বরং জান্নাতের জন্য এগুলো বিক্রি করেছি।
তোমরা তোমাদের মজুরি কেউ মিনিটে, কেউ ঘন্টায় আবার কেউবা মাসে মাসে নেও। আর আমরা আমাদের মজুরি দুনিয়ায় এই ক্ষণিকের যাত্রার শেষে নেবো। তোমাদের মজুরি মাসে মাসে শেষ হয় কিন্তু ইনশাআল্লাহ আমাদের মজুরি কোনদিন শেষ হবে না। তোমরা তোমাদের মজুরি দিনে দিনে ভোগ করো, আর আমরা সেটা হয়তো পারি না।
কিন্তু মনে রেখো, আমরা বেকার নই। আমরাও কর্মে নিয়োজিত আছি।
হ্যা! এখন হয়তো আমাদের লোকাল বাসে ঝুলে ঝুলে বাসায় যেতে হয়, হয়তো আমরা ঈদে শপিং করতে পারি না এবং হয়তো আমরা জীবনকে উপভোগ করতে পারি না। কিন্তু এরমানে এই না যে, আমরা বেকার বসে আছি। বরং আমরাও কর্মেই নিয়োজিত আছি। এবংআমার এই কর্মসংস্থান আমি আল্লাহর রহমতে নিজেই খুজে নিয়েছি।
সফলতা ও বেকারত্ব তোমাদের কাছে একরকম আর আমাদের কাছে আরেকরকম। তবে কথা হলো, আমাদের সফলতা ও কর্মসংস্থানের সঙ্গা মহান আল্লাহ তায়ালা ঠিক করে দিয়েছেন।
আর আমরা আমার আল্লাহর নির্ধারন করে দেয়া সফলতা ও কর্মসংস্থানের সঙ্গায় পুর্ন আস্থাশীল।
فَقُلْ حَسْبِىَ اللَّهُ لَآ إِلٰهَ إِلَّا هُوَ ۖ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ ۖ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ
,তবে বল, ‘আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। আমি তাঁরই উপর তাওয়াক্কুল করেছি। আর তিনিই মহাআরশের রব’।সেই ছোটকালে বলা হতো, "ভালো করে পড়াশোনা করো। নাহলে সফলতা পাবে না"।
দাখিল পরীক্ষার সময় বলা হলো, " এ+ না পেলে জীবন ব্যর্থ"। জানপ্রাণ পড়াশোনা করলাম। এ + এলো। কিন্তু সফলতা এলো না।
আলিম পরীক্ষার সময় বলা হলো, " দাখিলের এ+ এ কোন লাভ হবে না। যদি না আলিমে এ+ পাও"। আবারো প্রাণপন পড়াশোনা করলাম। এ+ ও এলো। কিন্তু সফলতা এলো না।
এভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির সময়, ডিপার্টমেন্টের রেজাল্টের সময়ও "সফলতা" এর সংগা বারংবার বদলেছে।
এবং নিশ্চিত করেই বলা যায় যে, এটা আরো বহুবার বদলাবে। এখন বলা হচ্ছে, চাকরীই সফলতা, এরপরে বলা হবে, পদন্নোতিই সফলতা, এরপরে গাড়ি-বাড়িই সফলতা।
এভাবে সফলতার সঙ্গা প্রতিনিয়ত বদলে যায়। সেটা অর্জন করলে দেখা যায় যে, সফলতা মনে করে এতো কষ্ট করে যা অর্জন করা হলো সেটা আদতে সফলতা না। বরং নতুন আরেকটাকে সফলতা বলা হচ্ছে।
এ যেনো নাকের সামনে ঝুলানো একটি মুলা। যা কোনদিনই অর্জন হয় না। এ যেনো এক মরিচিকা।
আসলে তাই। বস্তুজগতে যাকে সফলতা বলা হয় তা আদতেই মরিচিকা। সব ভুয়া। সফলতা বলে কিছু নাই।
এই মরিচিকার পিছনে দৌড়াতে দৌড়াতে কি অর্জন হয় জানেন?
পবিত্র কোরআন খুব চমৎকার বলেছে,
أَلْهٰىكُمُ التَّكَاثُرُ
প্রাচুর্যের প্রতিযোগিতা তোমাদেরকে ভুলিয়ে রেখেছে।
حَتّٰى زُرْتُمُ الْمَقَابِرَ
যতক্ষণ না তোমরা কবরের সাক্ষাৎ করবে।
এটাই সত্য। সফলতা নামক আলেয়ার পিছনে ছুটতে ছুটতে আকস্মাৎ মৃত্যু সামনে এসে পড়ে। কিন্তু সফলতা আর আসে না।
অথচ নিশ্চিত একটি সফলতা আছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন,
الَّذِينَ ءَامَنُوا وَهَاجَرُوا وَجٰهَدُوا فِى سَبِيلِ اللَّهِ بِأَمْوٰلِهِمْ وَأَنفُسِهِمْ أَعْظَمُ دَرَجَةً عِندَ اللَّهِ ۚ وَأُولٰٓئِكَ هُمُ الْفَآئِزُونَ
যারা ঈমান এনেছে, হিজরত করেছে, আর আল্লাহর পথে নিজদের মাল ও জান দিয়ে জিহাদ করেছে, আল্লাহর কাছে তারা বড়ই মর্যাদাবান আর তারাই সফলকাম।
এটাই সত্যিকার সফলতা। এই সফলতায় কোন ধোকা নাই। কোন অনিশ্চয়তা নাই।
অথচ আমরা এই নিশ্চিত সফলতাকে রেখে মরিচিকার পিছনে ছুটছি। আর হতাশ হচ্ছি।
ইশা ছাত্র আন্দোলন আপনাকে আলেয়ার পিছন থেকে ছুটিয়ে নিশ্চিত সফলতার দিকে ডাকছে।
#বেকারত্ব হলো, কোন কাজ না করে অলস সময় কাটানো। এর বিপরিতে যারা শ্রমের বা কর্মের বিনিময়ে অর্থ উপার্জন করে তাদের কর্মসংস্থান হয়েছে বলে ধরা হয়।
যারা তাদের কর্মের মজুরী দিনে দিনে পায় তাদেরকে দিনমজুর বলা হয়। সেই হিসেবে ডাক্তাররা মিনিটমজুর। উকিলরা ঘন্টা মজুর। আর চাকুরীজীবিরা মাসমজুর।
ভাত-কাপড়ের জন্য যারা নিজেদের শ্রম-মেধা ও সময় বিক্রি করার সুযোগ পেয়েছে তারা "কর্মসংস্থান" হয়েছে বলে আত্মতুষ্টিতে ভোগে।
আমরাও আমাদের শ্রম-মেধা ও সময় বিক্রি করেছি। তবে আমরা ভাত-কাপড়ের জন্য আমাদের শ্রম-মেধা ও সময় বিক্রি করি নাই। বরং জান্নাতের জন্য এগুলো বিক্রি করেছি।
তোমরা তোমাদের মজুরি কেউ মিনিটে, কেউ ঘন্টায় আবার কেউবা মাসে মাসে নেও। আর আমরা আমাদের মজুরি দুনিয়ায় এই ক্ষণিকের যাত্রার শেষে নেবো। তোমাদের মজুরি মাসে মাসে শেষ হয় কিন্তু ইনশাআল্লাহ আমাদের মজুরি কোনদিন শেষ হবে না। তোমরা তোমাদের মজুরি দিনে দিনে ভোগ করো, আর আমরা সেটা হয়তো পারি না।
কিন্তু মনে রেখো, আমরা বেকার নই। আমরাও কর্মে নিয়োজিত আছি।
হ্যা! এখন হয়তো আমাদের লোকাল বাসে ঝুলে ঝুলে বাসায় যেতে হয়, হয়তো আমরা ঈদে শপিং করতে পারি না এবং হয়তো আমরা জীবনকে উপভোগ করতে পারি না। কিন্তু এরমানে এই না যে, আমরা বেকার বসে আছি। বরং আমরাও কর্মেই নিয়োজিত আছি। এবংআমার এই কর্মসংস্থান আমি আল্লাহর রহমতে নিজেই খুজে নিয়েছি।
সফলতা ও বেকারত্ব তোমাদের কাছে একরকম আর আমাদের কাছে আরেকরকম। তবে কথা হলো, আমাদের সফলতা ও কর্মসংস্থানের সঙ্গা মহান আল্লাহ তায়ালা ঠিক করে দিয়েছেন।
আর আমরা আমার আল্লাহর নির্ধারন করে দেয়া সফলতা ও কর্মসংস্থানের সঙ্গায় পুর্ন আস্থাশীল।
فَقُلْ حَسْبِىَ اللَّهُ لَآ إِلٰهَ إِلَّا هُوَ ۖ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ ۖ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ
,তবে বল, ‘আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। আমি তাঁরই উপর তাওয়াক্কুল করেছি। আর তিনিই মহাআরশের রব’
Nice
ReplyDeleteKhub balo
ReplyDelete